আমাদের জানতে হবে এই প্লাজমা ( Plasma ) কি?
What is Plasma?
রক্তের তরল, হালকা হলুদাভ অংশকে রক্তরস (plasma) বলে।
বিভিন্ন চিকিৎসক ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের মধ্যে জানা গেছে যে, করোনা আক্রান্ত কোন রোগী সুস্থ হলে তার রক্তে করোনার অ্যান্টিবডি তৈরি হয়৷
তা থাকে রক্তের হলুদাভ জলীয় অংশ৷ আর এটাই হলো প্লাজমা৷
করোনা আক্রান্ত রোগী যদি সুস্থ হয়, তবে সেই করোনা আক্রান্ত সুস্থ ব্যক্তির শরীর থেকে হলুদাভ জলীয় অংশ নিয়ে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে দিলে,
সেই করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে এবং করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন৷
প্লাজমা
বাংলাদেশে আপাতত এই চিকিৎসার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হচ্ছে। সফলতা পাওয়া গেলে করোনাভাইরাস রোগীদের চিকিৎসায় এটি পুরোদমে শুরু করা হবে।
তবে আমাদের মনে রাখতে হবে এই প্লাজমা থেরাপি চিকিৎসা বিজ্ঞানে এটি বেশ পুরোনো একটি পদ্ধতি।
কিন্তু হয়তো আমাদের কাছে এটি নতুন পদ্ধতি মনে হচ্ছে।
এই পদ্ধতিতে সাধারণত কোন ভাইরাল সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠা মানুষের রক্ত সংগ্রহ করা হয়। এরপর সেই রক্ত সঞ্চালিত করা হয় একই ধরনের ভাইরাল সংক্রমণের শিকার রোগীর দেহে।
১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লুর মহামারি এবং ১৯৩০ এর দশকে হামের চিকিৎসায় এই পদ্ধতি কাজে লাগানো হয়েছিল। একেবারে সাম্প্রতিক সময়ে ইবোলা, সার্স এবং ’এইচ-ওয়ান-এন-ওয়ান’ এর মতো রোগের চিকিৎসায়ও এটি ব্যবহার করা হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে করোনাভাইরাসের বিস্তার শুরু হওয়ার পর বিশ্বে এ পর্যন্ত ৪৫ লাখের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে আর মারা গেছে সাড়ে তিনলক্ষের বেশি মানুষ। বাংলাদেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৪২,৮৪৪জন বেশি মানুষ। মারা গেছেন ৫৮২ জন।
কিন্তু এই করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে পুরোপুরি কার্যকর কোন ওষুধ বা টিকা এখনো আবিষ্কৃত হয়নি।
তবে আমাদের মনে রাখতে হবে যে,মানুষের রক্তের ৫৫ ভাগই প্লাজমা৷ এটি দেয়ার ক্ষেত্রে কোনা শারীরিক ঝুঁকি নেই বলেও জানান চিকিৎকরা৷ তাই করোনা থেকে আরোগ্যলাভকারীরা যদি প্লাজমা দিতে এগিয়ে আসেন তাহলে অনেক জীবন বাঁচানো যাবে বলে জানান বিভিন্ন চিকিৎসকেরা।
ঘরে থাকুন, বার বার সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার করুন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। নিজে সুস্থ থাকুন ও অন্যকে সুস্থ থাকতে সহয়তা করুন।