অনিতা সাহা:
স্বাস্থ্য সেবা হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় অগ্রগতি আলোচনা করতে গেলেই, প্রথমে জানতে হবে এই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কে এই চিকিৎসা পদ্ধতি প্রথম চালু করেছিলেন, তাই আমি সর্বপ্রথমে তার সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারনা দিয়ে আমি আমার প্রতিবেদন লিখছি।
হোমিওপ্যাথির প্রতিষ্ঠাতা পরিচিত:
নামঃ ডাঃ ক্রিশ্চিয়ান ফ্রেডরিক স্যামুয়েল হ্যানিম্যান(এম.ডি)( Christian Friedrick Samuel Hahnemann)(M.D)
তিনিই সর্বপ্রথম এই হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা প্রদ্ধতি চালু করেন।
জন্ম তারিখঃ
তিনি ১৭৫৫ খ্রিস্টাব্দের ১০ এপ্রিল মাঝরাতের পর জার্মানির সেক্সনি রাজ্যের মিসেন নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন।
শিক্ষা জীবনঃ
তিনি ছিলেন ১১ টি ভাষায় সুপণ্ডিত ছিলেন। তিনি রসায়নবিদ, উদ্ভিদ বিদ্যায় পারদর্শী, সমাজবিজ্ঞানী, মনস্তাত্ত্বিক, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যের রক্ষক।
তিনি আধুনিক যুগের চিকিৎসার সংকট নির্ধারণ, সমাধান ও উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাপক অবদান রাখেন।
ডা.হ্যানিম্যান জার্মানীর লিপজিক বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রাদার্স অফ মার্সি হাসপাতাল, আরলাংগেন বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রানসিলভেনিয়ার গভর্নরের পাঠাগারের চিকিৎসা বিজ্ঞানের উপর লেখা যাবতীয় বই পড়েছিলেন। ১৭৭৯ খ্রিস্টাব্দে তিনি আরলাংগেন বিশ্ববিদ্যালয় হতে চিকিৎসা বিজ্ঞানে এমডি ডিগ্রী লাভ করেন, অতঃপর ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দ হতে তিনি তার চিকিৎসা জীবন শুরু করেন। তিনি তৎকালীন প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসারে একজন অত্যন্ত জ্ঞানী, বাস্তবধর্মী, প্রগতিশীল ও সফল চিকিৎসক ছিলেন।
সফট-টেক ইন্স:অব মেডিকেল টেকনোলজি কলেজে ভর্তি চলছে!
ডা.হ্যানিম্যান এর প্রথম তৈরি ঔষধ চায়না।
ডা.হ্যানিম্যান ৮৮ বৎসর ২ মাস ২৩ দিন এই পৃথিবীতে বেঁচে ছিলেন।
জীবিত অবস্থায় দুটি বিবাহ করেছিলেন।
প্রথম জীবনে ২৮ বছর বয়সে ১৭৮২ সালের১৭নভেম্বর ১৯ বছবের জোহনা হেনরিয়েটি লিওপোলডিন কুসলারকে বিয়ে করেন।তিনি ১৮৩০ সালের ৩১ শে মার্চ মৃত্যু বরণ করেন।তার গর্ভে দুই ছেলে ও নয় মেয়ের জন্ম হয়েছিল।
তিনি জার্মানের কোথেন বসবাসের সময় ৮০ বছর বয়সে ১৮৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারী দ্বিতীয় বার ৩২ বছর বয়সী অত্যন্ত সুন্দরী ও ধনবান ফরাসী মহিলা মেরি মেলানী ডি হারভিলাকে বিবাহ করেন।
হোমিওপ্যাথি সেবা সংঘের উদ্দ্যোগে ফ্রি চিকিৎসার সময়।
হোমিওপ্যাথিক পদ্ধতি অনুযায়ী একজন ডাক্তারে তার চিকিৎসা সঠিক ভাবে দিতে পারে একজন রোগীকে এবং সেই রোগীও সঠিক চিকিৎসা পেয়ে থাকে
আমার অনেক অভিজ্ঞতার মধ্যে প্রথম অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি যখন আমি প্রথম বর্ষের ছাত্রী।
আমার প্রিয় দুই স্যার একজন হলো-
হোমিওপ্যাথি সেবা সংঘের সভাপতি,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির ” স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক” সদস্য,বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি কুমিল্লা জেলার সাধারন সম্পাদক ডা.লরেন্স তীমু বৈরাগী এবং হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষক,হোমিওপ্যাথি সেবা সংঘের সাধারন সম্পাদক ডা.আবদুছ ছাত্তার ভূঁইয়া (মহিউদ্দীন) স্যার।
তাদের সাথে থেকে হোমিওপ্যাথি সেবা সংঘের উদ্দ্যগে ডা.আবদুছ ছাত্তার স্যারের চেম্বর ” ভূঁইয়া হোমিও হলে” প্রথম সেবা সংঘের ফ্রি চিকিৎসায় দেখেছি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার উপকারিতা।
কিন্তু হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলে থাকেন, অথচ আমরা যদি লক্ষ করি তাহলে দেথতে পাই,
হোমিও চিকিৎসা নিচ্ছে অধিকাংশ মানুষেই।
এমনটি ছিল না এক সময়।
সবাই মনে করতো হোমিও চিকিৎসা নেয়,শুধু গরীর দু:খিরা।
কিন্তু আজ তা পাল্টিয়ে গেছে। ধনীব্যক্তি,মধ্যবিত্তব্যাক্তি ও গরীর সর্বস্তরের মানুষই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা নিচ্ছে।কারণ হোমিও চিকিৎসা হলো অর্গানন এর ২য় সূত্র অনুযায়ী কোন রোগীকে অতি দ্রুত,বিনা কষ্টে এবং স্থায়ী ভাবে চিকিৎসা দেওয়াই হলো হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা।
তাই দিনদিন বেড়েই চলেছে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার প্রসারতা।
শৈলেন হোমিও কেয়ারের উদ্দ্যোগে ফ্রি চিকিৎসায়।
এখনও পর্যন্ত এই করোনা মোকাবিলার কোন প্রতিষেধক তৈরি করা সম্ভব হয়নি । কারণ সময়ের সঙ্গে সঙ্গে করোনা ভাইরাস তার জেনেটিক কাঠামো পরিবর্তন করে। তাই করোনার কোন প্রতিষেধক এখনও তৈরি করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। ভারতের ওষুধ পাওয়া আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এরমধ্যেও আশার আলো দেখাচ্ছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে হোমিওপ্যাথিক ওষুধ আর্সেনিকাম অ্যালবাম ৩০ (Arsenicum album 30) কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
করোনায় লক্ষণ অনুযায়ী হোমিও ঔষধ আর্সেনিক এলবাম।
এই ঔষধের সাথে সাথে আমাদের মনে রাখতে হবে যে, এই রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে সবাইকে নিয়মিত গরম পানি ও সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত-মুখ ধোয়া, অকারণে নাকে মুখে হাত না দেওয়া, বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে।
তাছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে স্বাস্থ্যকর খাবার, ব্যায়াম এবং কিছু লক্ষণ আনুযায়ী হোমিও ওষুধ খাওয়া ভালো।
তাই আসুন আমরা এই মহামারি করোনা ভাইরাসের আক্রান্ত সময়ে সবার পাশে থেকে চিকিৎসা প্রদান করি এবং হোমিও চিকিৎসার প্রসারতা করি।
অনিতা সাহা
হোমিওপ্যাথিক অধ্যায়নরত ছাত্রী।
হ্যানিম্যান হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল
কুমিল্লা