আমরা ভূপেন হাজরিকার গানে শুনেছি ” মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভূতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু”।
মানব সেবার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অনেকর মুখে এখন এই কথা শোনা যাচ্ছে যে, কুমিল্লা জেলার এই সুযোগ্য পুলিশ সুপার নিজ জন্মভূমি চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাটি ও মানুষের কাছে আত্মমানবতার সেবাই বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করায় ইতোমধ্যেই জেলার সূর্যসন্তান, মানবতার ফেরিওয়ালা ও শিবগঞ্জ উপজেলার প্রাণের স্পন্দন নামে ভূষিত হয়েছেন।
মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রথম দিক থেকেই নিজ কর্মস্থল থেকে শুরু করে প্রাণপ্রিয় জন্মভূমির মাটি ও মানুষের টানে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
ইতোমধ্যে করোনায় তিনার সার্বিক প্রচেষ্টায় সৈয়দ পরিবারের উদ্যোগে জনসচেতনতার পাশাপাশি শিবগঞ্জের হাজার হাজার অসহায় ও গরীব পরিবারের মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এর’ই ধারাবাহিকতাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে নিজ কর্মস্থলে বসে প্রতিদিন যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে চোখ রাখেন তিনি। সেই সময় ফেইসবুকে দেখেন এক অভুক্ত রিকশা চালকের অসহায় পরিবার নিয়ে লেখা স্টাটাস ততক্ষণাত কর্মস্থলে বসেই ব্যাবস্থা গ্রহণ করেন।
এর’ই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (১৫ মে) ২০২০ ইং তারিখে ওই হতদরিদ্র রিকশা-চালকের নিজ বাড়িতে প্রতিনিধি পাঠিয়ে তার পরিবারের সার্বিক খোঁজ খবর নেন। পাশাপাশি যথাক্রমে, চাউল, তেল, আলু ও লবনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ১০ দিনের খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। এ
ছাড়াও ইতিপূর্বে পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম এর পৃষ্ঠ পোষকতায় ৬০০০ (ছয় হাজার) হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে।
এভাবে যদি তার মত মনোভাব সবার থাকে তবে, আমাদের বাংলাদেশে যদি আরো বড় মহামারি,দূর্যোগ যাই আসুক,তাতে আমাদের বেশ একটা বড় ক্ষতি করতে পারবে না,পারবে না অভাবের।
কারণ যখনই কোন বড় রকমের দূর্যোগ হয়, তখন সব থেকে বেশি সমস্যা হয় আহারের।
আর সেই আহারের ব্যবস্থা হলে অনেকটাই সহজ হয়ে যায় জীবনযাত্রা।
তাই আসুন আমরা আমাদের সাধ্য মতো স্ব স্ব স্থানে থেকে গরিব দু:খীর জন্য মানবতার সেবায় কুমিল্লার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিপিএম (বার) পিপিএম এর মতো হই।
ওয়ার্ল্ড খবর২৪.