আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে পার্লামেন্ট ভবনে (ক্যাপিটল বিল্ডিং) ডোনাল্ড ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার ঘটনায় চার জন নিহত হয়েছেন। ট্রাম্প সমর্থকদের বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও গোলাগুলির মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এর ফলে পার্লামেন্ট ভবন অবরুদ্ধ ও কারফিউ জারি করা হয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, অধিবেশন চলাকালে হঠাৎ করেই ট্রাম্প সমর্থকরা সেখানে তাণ্ডব শুরু করে। ভাঙচুরের পাশাপাশি সেখানে গোলাগুলিতে এক নারীর মৃত্যু হয়। পরে জরুরি অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
মার্কিন পার্লামেন্ট ক্যাপিটল ভবনে হামলা-তাণ্ড ট্রাম্পে উগ্র সমর্থকদের হামলা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি কালো দিন। এই ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের জন্য মর্মান্তিক ঘটনা। বিশ্বের অন্যান দেশের কাছে হাস্যকর। এই ঘটনার পর হোয়াইট হাউসের অন্তত তিনজন কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। আরও বেশ কয়েকজন পদত্যাগ করবেন বলে আভাস মিলছে
পদত্যাগ করা কর্মকর্তারা হলেন- হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি সারাহ ম্যাথিউস, সোশ্যাল সেক্রেটারি রিকি নিকেটা ও ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের চিফ অফ স্টাফ স্টেফাইন গ্রিশ্যাম। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাতেই তারা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
মেলানিয়া ট্রাম্পের চিফ অফ স্টাফ গ্রিশ্যাম এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, হোয়াইট হাউসে কাজ করে দেশকে সেবা দিতে পারাটা গর্বের। মেলানিয়া ট্রাম্পের মিশনে বিভিন্ন স্থানে শিশুদের সহযোগিতা করতে পেরে ও এই প্রশাসনের অনেক অর্জনের অংশ হতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি।
তবে এই হামলাকালে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলছিল
হামলাকালে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলছিল
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্যাপিটল ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন বটে, তবে সেই সঙ্গে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
এ ঘটনার পর যৌথ অধিবেশন স্থগিত হয়ে যায়। তবে রাতে আবার তা শুরুর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর আগে জর্জিয়ার দুটি সিনেটের আসন জিতে যায় ডেমোক্র্যাটরা। এর ফলে সিনেট ডেমোক্র্যাটদের নিয়ন্ত্রণে চলে এল। ডেমোক্রেটিক পার্টির দুই প্রার্থী রাফায়েল ওয়ারনক ও জন ওসফ সিনেটে নির্বাচিত হয়েছেন।
হামলার ঘটনার পর যৌথ অধিবেশন স্থগিত হয়ে যায়হামলার ঘটনার পর যৌথ অধিবেশন স্থগিত হয়ে যায়
ক্যাপিটলে এ হামলার পর বিশ্বনেতারা একের পর এক বার্তায় এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন। খোদ রিপাবলিকান পার্টির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। নেব্রাস্কার রিপাবলিকান সিনেটর বেন স্যাসি বলেছেন, ‘এটা একটা কুৎসিত দিন।’ এমনকি জর্জিয়ার সিনেটে সদ্য হেরে যাওয়া কেলি লফলার এ ঘটনার সমালোচনা করেছেন।