ভারত আর চীন যেমন দ্রুততার সাথে হিমালয় এলাকায় তাদের সীমান্তে উত্তেজনা কমিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছে তা অনেককেই অবাক করেছে।
মস্কোতে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর এবং চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র মধ্যে এক দীর্ঘ বৈঠকের পর দুদেশের সেনাবাহিনীকে মুখোমুখি অবস্থান থেকে সরিয়ে আনার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
যদিও, এর আগে পরমাণু শক্তিধর দুই দেশের গরম গরম কথাবার্তায় উত্তেজনা বেড়ে যাবার আভাসই পাওয়া যাচ্ছিল।
সপ্তাহের গোড়ার দিকে চীনা সরকার নিয়ন্ত্রিত দৈনিক গ্লোবাল টাইমস বলেছিল, “চীনা সৈন্যরা ভারতীয় সেনাদের ওপর দ্রুতই এক মারাত্মক আঘাত হানবে এবং তারা সব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। ”
ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও বলেছিলেন, ভারত তার আঞ্চলিক অখন্ডতা রক্ষা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং এ নিয়ে কোন সন্দেহ থাকা উচিত নয়।
সীমান্তের অবস্থাও ছিল তেমনি। চীন দাবি করে কয়েকদিন আগে ভারতীয় সৈন্যরা ‘উস্কানিমূলকভাবে’ গুলিবর্ষণ করেছিল, এবং চীন তখন পাল্টা পদক্ষেপ নিয়েছে – যদিও কী সেই ব্যবস্থা তা বলা হয়নি। ভারতীয় পক্ষ দাবি করে, চীনই ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছিল।
তার আগে জুন মাসে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় লাঠি এবং পাথর নিয়ে দু দেশের বাহিনীর এক মারাত্মক সংঘর্ষ হয়, যাতে ২০ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়।
সীমান্তে এখনও দু দেশের বিপুল পরিমাণ সৈন্য মোতায়েন করা আছে।
তবে হঠাৎ ঠিক কি কারণে দু দেশ উত্তেজনা প্রশমনে একমত হলো – যা কেউই ঘটবে বলে ভাবেননি?