মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে বাংলাদেশের সিনেমা হল গুলো।
সিনেমা হল গুলোর কর্মচারীদের মানবেতর জীবন-যাপন করছে সাথে সিনেমা হল গুলোর মালিক দুশ্চিন্তায় আছে।
কোন পথ খুঁজে পাচ্ছে না তারা উভয়েই।
দেশের সিনেমা হল গুলোর অবস্থা এমনিতেই নিভু নিভু করছিল।
তারমধ্যে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে মহামারি করোনা ভাইরান।

বন্ধ হয়ে আছে বাংলাদেশের সিনেমা হল গুলো।
বাধ্য হয়েই ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে দেশের সব সিনেমা হল। কিন্তু হল বন্ধের বিষয়টি দীর্ঘ মেয়াদি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের হলগুলোতে নিয়োজিত হাজারো কর্মচারী! ভালো নেই তারা। পরিবার চালাতে হিমসিম খাচ্ছে তারা।কোন সাহায্য পাচ্ছে না তারা।
সিনেমা হলগুলো চালু থাকলে তবু কিছু উপড়ি রোজগার সম্ভব হয়, কিন্তু করোনার কারণে কয়েক মাস ধরে সিনেমা হল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সে পথটিও বন্ধ তাদের। তারউপর হল বন্ধের কারণে বেশিরভাগ কর্মচারির মাসিক বেতনও আটকে গেছে। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বেশ কয়েকটি প্রসিদ্ধ সিনেমা হলের কর্মচারীদের জানিয়েছে,
তাদের বেতন আটকে যাওয়ায় পরিবার নিয়ে সীমাহীন কষ্টে দিন পার করছেন তারা।
সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সিনেমা হল গুলোর মালিকেরা জানায়, অন্যান্য শিল্পখাতে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। অন্যান্য শিল্প সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য এ অবদান রাখে, আমরাও অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য সরকারকে প্রতিটি টিকেট থেকে ভ্যাট ও পৌর কর দিয়েছি। তাহলে সিনেমা হল কেন সরকারের প্রণোদনার বাইরে থাকছে? আমাদের অবস্থা এতোটাই খারাপ বলে বোঝাতে পারবো না। সিনেমা হল যদি না থাকে তাহলে প্রযোজক, শিল্পী, পরিচালক ওনারা কোথায় ছবি চালাবেন? আমাদের দুঃখ কেউ দেখছে না। সরকার সিনেমা হলে সুদ্মুক্ত ঋণ দিলে হয়তো সিনেমা অঙ্গন কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে।

সিনেমা হল গুলো বন্ধের কারণে সিটগুলো খালি পরে আছে।
দেশের অন্যন্য সিনেমা হলগুলোর অবস্থাও প্রায়ই একই।
করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর সিনেমা হলের ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কায় আছেন সিনেমা হল গুলোর মালিকেরা। হয়তো এক সময় এই মহামারি করোনা চলে ডাবে কিন্তু ভবিষ্যতে কি এই সিনেমা হল গুলো পূর্বের অর্থনীতির অভাব কাটিয়ে চালাতে পাবরে সিনামা হল গুলো।
একটু উল্লেখ করা প্রয়োজন, বর্তমানে সিনেমা হল মালিকদের কোনো কমিটি নেই। সরকারি একজন প্রশাসক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
তাই সরকার ও সবার কাছে বিশেষ আকুল আবেদন ভবিষ্যতে এই শিল্পকলাকে বাঁচিয়ে তোলার জন্য সবার সার্বিক সহযোগীতা কামনা করেছেন, হল গুলোর মালিক কর্মচারীরা।

সবার সহযোগীতায় খুলে যেতে পারে সিনেমা হলো গুলোর কর্মচারি ও মালিকের বাঁচার পথ।
সবাই সব কিছু নিয়ে খবর তৈরি করে, কিন্তু এই সিনেমা হল গুলো মানুষের বিনোদনের একটি অন্যতম কেন্দ্র।
যখন মানুষ তার কাজ কর্মে ক্লান্ত হয়ে পরে তখন তারা ছুটে যায়, মনের আনন্দের খোড়াক জোগাড় করতে যায় সিনেমা হল গুলোতে।
তাই আজ সময় এসেছে এই বিনোদনের জায়গাটিকে বাঁচিয়ে আবার সেই পুরানো দিনের জাকজমক পূর্ণ গড়ে তুলতে সিনেমা হল গুলোকে।
এই প্রত্যাশা-
ওয়ার্লড খবর২৪.